সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
রাস্তায় উড়ছে ধূলাবালু। কড়া রোদেও ঝাপসা দেখা যাচ্ছে পথ। ধূলার যন্ত্রনায় অতিষ্ট সবাই। রাস্তায় চলাফেরা করা দায়। এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও আলমাছিয়া বঙ্কিম বাজার সড়কসহ একাধিক রাস্তাঘাটে। এসব এলাকার লোকদের শরীরে লাগছে ধূলাবালি। রোগাক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ধূলার কাছে অসহায় হয়ে উঠেছেন সাধারণ পথচারী। ভোগান্তির পাশাপাশি পালা দিয়ে বাড়ছে রোগ-বালাই। পথচারী ও যানবাহন যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। শিশু-বৃদ্ধ ও অসুস্থরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন চরমভাবে। ঝাড়– দেয়া ও পানি ছিটকানোর অভাবে ধূলার রাম রাজত্ব চলছে সর্বত্র। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, ভবন নির্মাণ, ভবন ভাঙ্গা, রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের কারণে বিরক্তিকর ধূলার এ রাম রাজত্ব বলে জানাচ্ছেন ভূক্তভোগীরা।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে নিয়ম না মানায় ও এ অবস্থার সৃষ্টি বলে মন্তব্য সংশিষ্টদের। প্রচুর ধূলাবালি জনস্বাস্থ্যের উপর ফেলছে ক্ষতিকর প্রভাব। ধূলাবালিযুক্ত রাস্ত দিয়ে হাটলেই পরিধেয় কাপড়-চোপড় ও মালামাল ধূলায় ভরে যায়। যা পরিস্কার করতে সময় ও অর্থ নষ্ট হয় সংশিষ্টদের। আবার এ কাজে অপচয় হয় পানি ও বিদ্যুতের। যথানিয়মে সড়ক পরিস্কার কার্যক্রম ও কার্যকর আইন থাকলে এ অবস্থা হতো না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুড়ি, সংস্কার কাজ ও উম্মুক্তভাবে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের কারণে চতুর্দিকে ধূলার দাপট। চিকিৎসকদের মতে, এ ধূলাবালিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। তাদের মতে, ধূলা দূষণে চুলকানি, শ^াসকষ্ট, ফুঁসফুসে ক্যান্সার, হাঁপানী, যক্ষ্মাসহ নানা জটিল ও কঠিন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে ফি বছর ইট ভাটা মৌসুমে অস্বাভাবিক ধূলার সৃষ্টি। যা সংশিষ্ট সড়কের আশে-পাশে অবস্থিত নানা শিক্ষা, সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সংশিষ্টদের যাতায়াত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চরম বিঘ্ন ঘটায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদগাঁও আলমাছিয়া সড়ক, বঙ্কিম বাজার সড়ক, বাজারের ডিসি রোড, ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী সড়কের বঙ্কিম বাজার অংশ, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পালপাড়া, কানিয়াছড়া, মন্ডল পাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকাসহ নানা সড়কে এলাকাবাসী ধূলাবালির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে চলতি ইট ভাটা মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক-উপসড়ক দিয়ে ইট ও মাটি পরিবহনের কারণে সংশিষ্ট এলাকা ধূলাময় হয়ে উঠেছে। যা সাধারণ জনগণের তীব্র বিরক্তির উদ্রেক ঘটাচ্ছে।
পাঠকের মতামত: